• info@bangladeptalumniru.org
  • +8801715319362

কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক উত্থাপিত

০২ মার্চ ২০২৪ তারিখের বার্ষিক সাধারণ সভার সংশোধনীসহ গৃহীত

 

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের ৯ এপ্রিল, ২০১৬ তারিখে অনুষ্ঠিত প্রথম সম্মিলনে সদস্যদের ব্যাপক সমর্থনে এবং ২৭ জানুয়ারি- ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত প্রথম সম্মিলনের বার্ষিক সাধারণ সভায় উত্থাপিত সর্বশেষ সংশোধনীসহ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও চূড়ান্তকৃত। পরবর্তীতে ২৫/১২/২০২১-এর বার্ষিক সাধারণ সভা, ২ মার্চ ২০২২-এর বার্ষিক সাধারণ সভা এবং ২ মার্চ ২০২৪-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতভাবে গৃহীত সকল সংশোধনীসহ-

 

সর্বশেষ সংস্করণ

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশকাল: ১ জুন, ২০২৪

 

মুখবন্ধ

গঠনতন্ত্র সংগঠনের প্রাণ। শক্তিশালী ও গতিশীল গঠনতন্ত্রই পারে সংগঠনকে জবাবদিহিতা, নিয়ম ও শৃঙ্খলার ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে। এদিকে লক্ষ্য রেখে বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম থেকেই একটি শক্তিশালী ও গতিশীল গঠনতন্ত্র প্রণয়নে আন্তরিকভাবে সচেষ্ট থেকেছে।

আপনারা জানেন, বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই আহ্বায়ক কমিটির পক্ষ থেকে খসড়া গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হয়। এক্ষেত্রে প্রফেসর ড. সরকার সুজিতকুমার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তবে তাড়াহুড়ো করে এ খসড়া প্রণয়ন করার ফলে কিছু অসংগতি থেকে যায়। পরে সম্মিলন প্রস্তুতি পরিষদ খসড়া গঠনতন্ত্র নিয়ে বেশ কয়েকটি সভায় মিলিত হয়ে সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করে। বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই ওয়েব পেজে এ খসড়া দিয়ে সদস্যদের মতামত আহ্বান করা হয়। এ সময় সদস্যদের কাছ থেকে কয়েকটি বিষয় সংশোধন, বিয়োজন ও পরিমার্জনের প্রস্তাব পাওয়া যায়। বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ঐতিহাসিক সম্মিলনে কয়েকটি সংশোধনীসহ উপস্থিত সদস্যদের প্রকাশ্য ভোটে বিপুল সমর্থনে গঠনতন্ত্র গৃহীত হয়।

কার্যনির্বাহী পরিষদ কাজ করতে যেয়ে লক্ষ করে যে, ভাষার ক্ষেত্রে কিছু অসামঞ্জস্যতা, কিছু বিষয়ের দ্বিরুক্তি রয়েছে এবং ২/৩টি ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর অস্পষ্টতা থেকে গেছে। এ কারণে গঠনতন্ত্রের আরো পরিমার্জন, সংযোজন, বিয়োজন ও সংশোধনের জন্য সকল সদস্যের কাছে ডাকযোগে গঠনতন্ত্রের কপি প্রেরণ করা হয় এবং মতামত আহ্বান করা হয়। বেশ কয়েকজন সদস্য এ বিষয়ে লিখিত মতামত দেন। বিশেষ করে, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি মাহমুদ হাসান, সেকেন্দার আলী ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম শান্ত এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কার্যনির্বাহী পরিষদ বিস্তারিত আলোচনা শেষে কিছু সংযোজন ও বিয়োজনের সুপারিশসহ এসব সংশোধনী কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপনের সুপারিশ করে। উত্থাপিত সকল সংযোজন-বিয়োজনসহ সংশোধনীসমূহ ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে সফিপুরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের পর ভাষা ও বানানের কোনো অসংগতি বা ভুল থাকলে তা সম্পাদনার জন্য কবি মাহমুদ হাসান ও কবি হাবিবুর রহমান হাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁরা দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। এজন্য আমরা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। আহ্বায়ক পরিষদ, সম্মিলন প্রস্তুতি পরিষদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল সদস্যসহ গঠনতন্ত্র প্রণয়নের বিভিন্ন পর্যায়ে নানাভাবে যারা সহযোগিতা করেছেন তাঁদের সকলকে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই।

গঠনতন্ত্র অপরিবর্তনীয় কিছু নয়। সংগঠন ও সদস্যদের প্রয়োজনে এর সৃষ্টি আবার সংগঠনের অধিকাংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে এর পরিবর্তনও হতে পারে। কয়েকজন প্রবীণ সদস্য সংগঠনের কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে গ্যারান্টি ক্লজ সংযোজনসহ আরো ২/১টি বিষয় সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা যথানিয়মে বিষয়গুলো সদস্যদের বিবেচনার জন্য দ্বি-বার্ষিক সম্মিলনে উত্থাপন করবো।

গঠনতন্ত্র আমাদের সংঠনের ভিত্তিভূমি। তাই সকল সদস্যের হাতে গঠনতন্ত্র পৌঁছে দেয়ার জন্য তা ছাপা হলো। এ গঠনতন্ত্র মেনে চলে আমরা আমাদের সংগঠনকে আরো বিকশিত, আরো সুন্দর, আরো প্রাণময় করে তুলতে চাই। এক্ষেত্রে আমরা সকল সদস্য যদি অবদান রাখি তাহলে সবার হাতে গঠনতন্ত্র পৌছে দেয়ার আমাদের এ প্রচেষ্টা সার্থক হবে।

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের জয় হোক। শান্তিময় ও সৃজনশীল হোক আমাদের আগামী।

 

আপেল আবদুল্লাহ

সভাপতি

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

 

পি এম সফিকুল ইসলাম

সাধারণ সম্পাদক

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

 

 

দ্বিতীয় সংস্করণ প্রসঙ্গে

সংগঠনের গঠনতন্ত্র সহজাত ব্যাপার। অত্যন্ত পরিশ্রমে করা একটি গঠনতন্ত্র নিয়ে ২০১৬ সালে বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই যাত্রা শুরু করে। তখন এ গঠনতন্ত্রটি নবীন হলেও সকল সদস্যদের সার্বিক সমর্থন ও প্রশংসা এটি আদায় করে নিতে সক্ষম হয়।

অ্যালামনাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন। সংগঠনের গঠনতন্ত্র গণতন্ত্র মেনে চলতি পথে প্রয়োজনের আলোকে পরিবর্ধন-পরিমার্জন- সংশোধন সম্পন্ন হয়। আমরা এ পর্যায়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়ি যখন করোনা অতিমারীর সময় এলো। কারণ, সেই দুবছর সংগঠনের পক্ষে প্রায় কোনো কাজই করা সম্ভব হয়নি। ফলে, এক ধরনের সাংগঠনিক জটিলতা তৈরি হয়। পরে অতিমারী কেটে গেলে গঠনতন্ত্রের কিছু ধারায় পরিমার্জন এনে আমরা এটি বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থাপিত করি। এরপর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সম্মেলন করা সম্ভব হয়। গত ২০২৪ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতভাবে আরও কিছু অনুচ্ছেদ পরিমার্জন ও সংশোধনের প্রয়োজন হয়। সংগঠনের গত আট বছরের অধিককাল সময়ে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত এই গঠনতন্ত্র আমরা একটি সাফল্যজনক পর্যায়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হই। আমরা মনে করি গঠনতন্ত্রই আমাদের রক্ষাকবজ। সেজন্য কিছু বানান ও বাক্যবিভ্রান্তি দূর করে গণতান্ত্রিকভাবে গৃহীত এ গঠনতন্ত্রটি আমরা দ্বিতীয়বার মুদ্রণ করে সকলের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। এ সংস্করণটি আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের প্রত্যেক সদস্যের হাতে এবার পৌঁছে দেব। আমাদের সংগঠনে কী আছে, কীভাবে চলে, এর সুদূরপ্রসারী কার্যক্রম কী কিংবা বাংলা বিভাগের জন্য সে কী করতে পারে তা সকলের জানা দরকার। এবং আমরা আশা করি এই গঠনতন্ত্র পঠন-পাঠনের ভেতর দিয়ে সকল সদস্যই সাংগঠনিক হয়ে উঠবেন এবং এর গণতান্ত্রিক মূলবোধের অংশীদারিত্ব আয়ত্ব করবেন।

প্রসঙ্গত, দত, একটি কথা সকলের জানা সমীচীন যে, অ্যালামনাই এখন সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রমের অংশ। পাশ্চাত্য দেশগুলোতে অ্যালামনাই প্রত্যেকটি বিদ্যায়তনিক সংগঠনের কার্যকরী শক্তি। আমাদের এদেশে এমন প্রতিষ্ঠানের যাত্রা এখনও নবীন পর্যায়ে আছে, আশা করি আগামীতে অ্যালামনাই অবশ্যই আমাদেরও অনিবার্য অঙ্গীকার হয়ে উঠবে এবং সকল ক্ষেত্রে তা পূর্ণাঙ্গ পরিপুষ্টি যোগাবে।

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় হোক। সকলের কার্যকর সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গলময় জীবন প্রত্যাশা করি।

 

জামিল রায়হান

সভাপতি

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

 

শহীদ ইকবাল

সাধারণ সম্পাদক

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

গঠনতন্ত্র

. সংগঠনের নাম:

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

ইংরেজি নাম:    Bangla Department Alumni, Rajshahi University.

. প্রতীক পরিচয়

() মনোগ্রাম: সংগঠনের মনোগ্রাম হবে বৃত্তাকার। দুটি বৃত্তের মধ্যে ছোট বৃত্তের মাঝখানে জলছাপে বাংলা বর্ণ 'ব' অঙ্কিত থাকবে। ব-বর্ণটিতে ব্যবহৃত কাঠামোটির অভ্যন্তরভাগ বাংলা আধুনিক প্রাচীন বর্ণমালা দ্বারা পূরণ করা হবে। ছোট বৃত্তের বাইরে অপেক্ষাকৃত বড় বৃত্তের ভেতর সংগঠনের নাম থাকবে। বৃত্তের ওপরের অংশে 'বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই' এবং বৃত্তের নিচের অংশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় লেখা থাকবে। বৃত্তের বাম ও ডান দিকে প্রাচীন বাংলা হস্তলিপির যতি চিহ্ন থাকবে। এছাড়া রঙের ব্যবহার হবে ভেতরের বৃত্তের লাইন ও ভেতরের বৃত্তের জমিনে সবুজ রঙ, বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় লাল রঙ এবং যতি চিহ্ন হবে কালো রঙে।

) গঠনতন্ত্র: সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালন এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় একটি পূর্ণাঙ্গ গঠনতন্ত্র থাকবে, যা বাংলা ভাষায় লিখিত হবে।

. ঠিকানা

) প্রধান অফিস

কক্ষ নং ৪০৯, ড. আসাদুজ্জামান স্মৃতি পাঠাগার, শহীদুল্লাহ্ কলাভবন, বাংলা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ডাকঘর: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, থানা: মতিহার,

জেলা: রাজশাহী, পোস্টকোড-৬২০৫

) ঢাকা অফিস

সাংগঠনিক কাজের সুবিধার্থে বাংলা বিভাগের বাইরে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ঢাকায় একটি অফিস থাকবে এবং উল্লিখিত অফিস কার্যক্রম পরিচালনায় প্রধান কার্যালয়ের সমান একই ধরনের সুযোগ সুবিধা, ক্ষমতা ও অধিকার প্রাপ্ত হবে, যা একই কার্যনির্বাহী পরিষদ দ্বারা পরিচালিত হবে।

. সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য

ক) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, গবেষক ও শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্টদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি এবং সাহিত্য- সংস্কৃতি, গবেষণা, মনন ও সৃজনশীলতা বিকাশ ও উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদান ও উৎসাহিত করা।

খ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষকদের মধ্যে অটুট সেতুবন্ধ, ঐক্য ও ভাব বিনিময়ের ক্ষেত্র গড়ে তোলা।

গ) মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা সমুন্নত রাখা এবং সৃজনশীলতা বিকাশের স্বপক্ষে একটি প্রগতিশীল ও কার্যকর সংগঠন হিসেবে অবদান রাখা।

ঘ) সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও মানবকল্যাণমুখী সংগঠন হিসেবে পরিচালিত করা।

. সদস্যপদ

) সদস্যপদের জন্য যোগ্যতা

১) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি যাঁরা গ্রহণ করেছেন;

২) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের বাংলা বিভাগ থেকে যারা এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন;

৩) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে কমপক্ষে একবছর শিক্ষকতা করেছেন বা করছেন;

৪) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে কমপক্ষে একবছর শিক্ষার্থী ছিলেন;

৫) ক) তবে শর্ত থাকে যে, যাঁরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স), এমএ অথবা এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণ করেননি তাঁরা কার্যনির্বাহী পরিষদের পদাধিকার বলে ১নং সহ-সভাপতির জন্য সংরক্ষিত পদটি ছাড়া কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্য কোনো পদে নির্বাচন করতে পারবেন না।

) সদস্য পদের শ্রেণিবিভাগ, শর্তাদি প্রদেয় ফিস

৫ক)-এ উল্লিখিত যোগ্যতাসম্পন্ন যে কেউ-

) জীবন সদস্যপদ: ৪,০০০.০০ (চার হাজার) টাকা জমা দিয়ে জীবন সদস্যপদের নির্ধারিত আবেদনপত্রে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদনের মাধ্যমে জীবন সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারবেন।

) সাধারণ সদস্যপদ: অবলুপ্ত

) সহযোগী সদস্যপদ

ক) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা

খ) বাংলা বিভাগের অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীগণ এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নন কিন্তু লেখালেখি, পত্র-পত্রিকা প্রকাশ, আবৃত্তি, গান, নাটকসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বা আছেন তাঁরা।

গ) ক ও খ-এ উল্লিখিত যোগ্যতাসম্পন্নগণ ২,৫০০ (দুই হাজার পাঁচশত) টাকা আবেদন ফি দিয়ে অ্যালামনাই-এর সহযোগী সদস্যপদ গ্রহণের জন্য সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বরাবরে আবেদন করতে পারবেন।

) সম্মানিত সদস্যপদ

৫ক) (১ থেকে ৪)-এ উল্লিখিত সদস্যপদে আবেদনের যোগ্য যেসব প্রথিতযশা

ব্যক্তিত্ব বয়স, রাজশাহী বা ঢাকার বাইরে কিংবা প্রবাসে অবস্থান অথবা অন্য যে কোনো যৌক্তিক কারণে যদি নিজে থেকে সদস্যপদ গ্রহণ না করেন বা না করতে পারেন তাহলে অ্যালামনাই এর পক্ষ থেকে এসব প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বকে সম্মানিত সদস্যপদ প্রদান করা হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তই এ বিষয়ে চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

) সদস্যপদ অনুমোদন প্রক্রিয়া

১) সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক সরাসরি অথবা কার্যনির্বাহী পরিষদের পরবর্তী সভার মাধ্যমে আবেদনকারীকে সদস্যপদ প্রদান করবেন।

২) সদস্যপদ অনুমোদনের পর আবেদনকারী সদস্য হিসেবে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।

৩) সদস্যপদ লাভের সময় আবেদন করার তারিখ থেকে বিবেচিত হবে

৪) সদস্যপদ প্রদানের সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিতে হবে।

) চাঁদা

১) জীবন সদস্য ও সম্মানিত সদস্যের বার্ষিক কোনো চাঁদা থাকবে না।

২) অবলুপ্ত

) তহবিল সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা

১) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দাতা সংগঠন ও ব্যক্তির নিকট থেকে অনুদান গ্রহণ ও নিজস্ব প্রকাশনায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ছাপাসহ প্রভৃতি সূত্র বা সংযোগ থেকে আয়ের মাধ্যমে সংগঠনের তহবিল গঠন ও ব্যয় পরিচালনা করা যাবে।

২) সংগঠনের তহবিল গঠনের বাধ্যবাধকতা থাকায় কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতির একটি ছাড়া সকল পদে নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত মনোনয়নপত্রের অফেরতযোগ্য জামানত হবে নিম্নরূপ:

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা, সহ- সভাপতি (১টি ছাড়া), যুগ্ম সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, ট্রেজারার, সহকারী ট্রেজারার, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, সংস্কৃতি সম্পাদক, ডকুমেন্টেশন ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং আইসিটি সম্পাদকসহ অন্য সকল উপ ও সহকারী সম্পাদক পদের জন্য ৩,০০০ (তিন হাজার) টাকা। প্রতিটি নির্বাহী সদস্য পদের জন্য ২,০০০.০০ (দুই হাজার) টাকা।

৩) জীবন সদস্য, অবলুপ্ত সাধারণ সদস্য ও সহযোগী সদস্য পদে গৃহীত সকল চাঁদা অ্যালামনাই-এর একটি স্থায়ী আমানত তহবিলে জমা রাখা হবে। সদস্যভুক্তির চাঁদার কোনো অর্থ অ্যালামনাই-এর পরিচালনা সংক্রান্ত কাজে ব্যয় করা যাবে না। তবে স্থায়ী আমানত থেকে প্রাপ্ত মুনাফা অ্যালামনাই পরিচালনা সংক্রান্ত কাজে ব্যয় করা যাবে।

৪) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্রের জামানত হিসেবে সংগৃহীত টাকা নির্বাচন পরিচালনার জন্য ও অ্যালামনাই পরিচালনা সংক্রান্ত কাজে ব্যয় করা যাবে।

) বিভিন্ন শ্রেণির সদস্যের অধিকার সুবিধাদি জীবন সদস্য: জীবন সদস্য হলে, তিনি-

১) সংগঠনের বার্ষিক ও দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

২) সংগঠনের বিভিন্ন সভায়, পরিকল্পনা প্রণয়ন, কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং প্রত্যেকের মতো সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হবেন এবং ৩) ৫ক)-এ উল্লিখিত ব্যতিক্রম ছাড়া কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ভোট প্রদান করার অধিকার প্রাপ্ত হবেন।

) অবলুপ্ত

) সম্মানিত সদস্য সহযোগী সদস্য

১) অ্যালামনাই-এর সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন শুধু ভোটাধিকার থাকবে না।

) যুক্তিসংগত কারণে সদস্যপদ বাতিল বা সাময়িক স্থগিতকরণ পদ্ধতি:

) যে সকল কারণে সদস্যপদ বাতিল হবে তা নিম্নরূপ-

১) সংগঠনের আর্থিক তহবিল তসরুপ

২) সংগঠনের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কাজ করলে

৩) সদস্যপদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে

৪) কোনো সদস্যের মৃত্যু বা মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটলে

৫) কোনো সদস্য ফৌজদারি অপরাধে আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হলে

৬) সাময়িক স্থগিত সদস্য ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে পুনর্বহাল না হলে

) সদস্যপদ পুনর্বহাল

১) ৫. ঝ ১ উপধারার ১) ২) ৩) ৪) ৫) ৬)-এ উল্লিখিত কারণে সদস্যপদ বাতিল হলে-যদি কোনো সদস্য পুনর্বহাল হতে ইচ্ছা পোষণ করেন তবে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন করতে হবে। এরূপ আবেদন সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহী পরিষদের পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করবেন এবং সভায় সদস্যপদ পুনরায় প্রদান করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত প্রদান সাপেক্ষে ৪,০০০.০০ (চার হাজার) টাকা অনুদান নিয়ে সদস্যপদ পুনর্বহাল করা যাবে।

) পদত্যাগ

১) সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদন করে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করা যাবে। পদত্যাগ গ্রহণ বা গ্রহণ না-করার ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।

২) যদি সভাপতি পদত্যাগ করেন সেক্ষেত্রে অ্যালামনাইয়ের সংরক্ষিত সহ- সভাপতির পদ ছাড়া চারজন নির্বাচিত সহ-সভাপতির মধ্য থেকে একজনকে কার্যনির্বাহী পরিষদ সভাপতি পদে নির্বাচিত করতে পারবে।

৩) সাধারণ সম্পাদক বা অন্য বিভাগীয় সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদ থেকে যদি কেউ পদত্যাগ করেন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শূন্য পদ পূরণে কার্যনির্বাহী পরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।

. সাংগঠনিক কাঠামো

) সংগঠনের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশে সদস্যগণের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন পরিষদের (body) নাম:

১: সাধারণ পরিষদ

২: কার্যনির্বাহী পরিষদ

৩: উপদেষ্টা পরিষদ

খ) সাধারণ পরিষদ

১) সাধারণ পরিষদ গঠন, সভা ও কর্তৃত্ব সংগঠনের স্থায়ী ও বৈধ সদস্য, যাদের ভোটাধিকার আছে তাদের সমন্বয়ে একটি সাধারণ পরিষদ গঠিত হবে। কমপক্ষে বছরে ১ (এক) বার এই পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে যে কোনো সময় সভাপতির পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক বা সভাপতি নিজেই বিশেষ সভা আহ্বান করতে পারবেন। প্রতি বছর ডিসেম্বর/জানুয়ারি মাসের মধ্যে সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত করা বাধ্যতামূলক বিবেচিত হবে। তবে জাতীয় জরুরি কোনো কারণে তার ব্যত্যয় ঘটলে দ্রুততার সঙ্গে তা করে ফেলতে হবে। সাধারণ পরিষদ হবে সংগঠনের, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। গঠনতন্ত্র সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, নির্বাহী পরিষদের নির্বাচনসহ সকল বিষয়ে সাধারণ পরিষদের সভার অধিকাংশ সদস্যদের মতামতই চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে। তবে নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন হবে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায়।

) সাধারণ পরিষদের ক্ষমতা কার্যাবলি

১) সংগঠনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সকল বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন ও অনুমোদন করা।

২) সংগঠনের অর্থবছরের শেষে বার্ষিক সাধারণ পরিষদ সভায় উপস্থাপিত কর্মসূচি ও আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা।

৩) কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যগণকে নির্বাচিত করা।

৪) কার্যনির্বাহী পরিষদের যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে সংগঠনের ক্ষতি কিংবা ভাবমূর্তি নষ্ট অথবা দায়-দায়িত্বে অবহেলা করার দায়ে অনাস্থা আনা কিন্তু এক্ষেত্রে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের লিখিত সম্মতি অবশ্যই থাকতে হবে।

৫) সংগঠনের গঠনতন্ত্রের যে কোনো ধারা, উপধারা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংশোধন, সংযোজন বা বাতিল করার ক্ষমতা। এক্ষেত্রে সভায় উপস্থিত অধিকাংশের সিদ্ধান্ত ও অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তীকালে তা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।

) কার্যনির্বাহী পরিষদ কার্যনির্বাহী পরিষদের ক্ষমতা কার্যাবলি হবে নিম্নরূপ-

১) সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন এবং পরিপালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন।

২) বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ।

৩) সংগঠন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন ও সাধারণ পরিষদে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন।

৪) সংগঠনের বাজেট ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বার্ষিক (কার্যক্রম ও আর্থিক) প্রতিবেদন প্রণয়ন এবং তা পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভায় উপস্থাপন।

৫) এ কমিটি বাংলা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের 'কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ' হিসেবে পরিচিতি পাবে।

) কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ

১) কার্যনির্বাহী পরিষদের কার্যকাল হবে নির্বাচনের পর থেকে ২ (দুই) বছর। অর্থাৎ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দায়িত্ব গ্রহণ থেকে দুই বছর। দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সাধারণভাবে সাধারণ সভার ক্ষেত্রে পঞ্জিকাবর্ষ ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকাল হিসেবে গণ্য করা হবে। প্রথম বছরে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বি- বার্ষিক সাধারণ সভায় কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন সাধারণভাবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের দুই বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর কোনো কারণে যদি নির্বাচন করা সম্ভব না হয় তাহলে তা অবশ্যই পরবর্তী ষাট (৬০) দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। তা না হলে ষাট দিন পর কার্যনির্বাহী পরিষদের কোনো কার্যকারিতা থাকবে না এবং দ্রুতসময়ে নির্বাচন করার জন্য ৫ সদস্যের অ্যাডহক কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে।

২) তবে জাতীয় কোনো দুর্যোগ, জরুরি পরিস্থিতি বা অনভিপ্রেত ঘটনার উদ্ভব হলে কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ ৯ মাস অর্থাৎ চলমান বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে এবং ক্যালেন্ডার বছরের মধ্যেই (৩১ ডিসেম্বর) নির্বাচন করতে হবে। যদি তাও করা সম্ভব না হয় তবে পাঁচ সদস্যের এ্যড-হক কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে।

৩) সংগঠনের নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম বছরের সাধারণ সভা ঢাকায় এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনসহ দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে করা বাঞ্ছনীয় হবে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে এর ব্যতিক্রমও করা যাবে।

) কার্যনির্বাহী পরিষদের পদ

১) সভাপতি: ১ জন-সংগঠনের অভিভাবক এবং সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ক্ষমতার অধিকারী।

২) সহ সভাপতি: ৫ জন (কার্যনির্বাহী পরিষদ মেয়াদের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান পদাধিকার বলে কোনোরূপ নির্বাচন ছাড়াই ১টি সহ-সভাপতি পদে সরাসরি মনোনীত হবেন।)

৩) সাধারণ সম্পাদক              : ১ জন (পদাধিকার বলে সংগঠনের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করবেন)

৪) ট্রেজারার              : ১ জন

৫) যুগ্ম-সম্পাদক           : ২ জন

৬) সহ-সাধারণ সম্পাদক      : ৩ জন

৭) সহকারী ট্রেজারার             : ১ জন

৮) সাংগঠনিক সম্পাদক       : ৩ জন

৯) সাহিত্য সম্পাদক         : ১ জন

১০) সংস্কৃতি সম্পাদক             : ১ জন

১১) দপ্তর সম্পাদক          : ১ জন

১২) উপ-দপ্তর সম্পাদক       : ১ জন

১৩) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : ১ জন

১৪) উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক   : ১ জন

১৫) আইসিটি সম্পাদক        : ১ জন

১৬) ডকুমেন্টশন ও গবেষণা সম্পাদক: ১ জন

১৭) কার্যনির্বাহী সদস্য             : ২৬ জন

সর্বমোট    : ৫১ জন

* 'দুটি সদস্যপদ অব্যবহিত পূর্বের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য নির্ধারিত থাকবে।

* পদাধিকার বলে সকল বিভাগীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন।

১৮) গঠনতন্ত্রের ৪। চ (২)-এর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের জন্য সংরক্ষিত সহ- সভাপতির পদে যদি এমন কোনো ব্যক্তি মনোনীত হন যিনি আগে থেকেই কোনো কার্যনির্বাহী পদে 'আসীন' আছেন বা হয়েছেন তাহলে তিনি যে কোনো একটি পদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং সে পদে কার্যনির্বাহী পরিষদ অন্য একজনকে কো- অপ্ট করতে পারবে। তবে সংরক্ষিত সহ-সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলে। সেক্ষেত্রে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান বিভাগের অধ্যাপকমণ্ডলী থেকে একজনকে শূন্য পদে মনোনীত করবেন এবং মনোনীত সহ-সভাপতির নাম কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

১৯) কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যদি পরবর্তী মেয়াদের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের কোনো পদে নির্বাচন না করেন তাহলে তাঁরা পরবর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদের দুইটি পদে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত হবেন। তবে যদি একজন বা দুজনই নির্বাচন করেন কার্যনির্বাহী পরিষদের এক বা দুটি পদ শূন্য রেখে কার্যনির্বাহী পরিষদের অবশিষ্ট সকল পদে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। নতুন মেয়াদে এক বা দুজনই নির্বাচিত হলে শূন্যপদ অনুযায়ী এক বা দুটি কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র গ্রহণের মাধ্যমে শূন্য পদ ১৫ দিনের মধ্যে কার্যনির্বাহী পরিষদ পূরণ করতে পারবে।

) নির্বাচন পদ্ধতি

১) সহ-সভাপতির নির্ধারিত একটি এবং সদস্য পদের নির্ধারিত দুটি পদ ছাড়া অন্য সকল পদ সাধারণ সভায় উপস্থিত অধিকাংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। তবে শর্ত থাকে যে, সংগঠনের বিকাশের জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ঢাকা মহানগরে স্থায়ী বসবাসকারী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্য থেকে নির্ধারণ করতে হবে। যে মেয়াদে সভাপতি হবেন ঢাকা থেকে সে মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে আবার সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে হলে সাধারণ সম্পাদক হবেন ঢাকার। অর্থাৎ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতি মেয়াদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ ও ঢাকার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। তবে ঢাকায় প্রার্থী না-পাওয়া গেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ ব্যতিরেকে ঢাকার বাইরের অন্য স্থানের প্রার্থী সে স্থলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

২) কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ যে কোনো বিভাগীয় সম্পাদক ও সহ-সম্পাদকের একই পদে পরপর দুইবার নির্বাচিত হলে পরবর্তী নির্বাচনে ওইপদে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে অন্য বছর নির্বাচনে বাধা নেই। এক মেয়াদ বিরতি দিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট পদসহ যেকোন পদে নির্বাচন করতে পারবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যপদে পরপর নির্বাচিত ব্যক্তি পরবর্তী নির্বাচনে একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

) নির্বাচন পরিচালনা কমিটি

১) (ক) কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না এমন তিনজন অ্যালামনাই সদস্যের সমন্বয়ে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য দুজনকে কমিশনার হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে কার্যনির্বাহী পরিষদ দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার এক মাস আগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করবেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ২ সপ্তাহের মধ্যে এ কমিটিকে কার্যনির্বাহী পরিষদের নিকট আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রদান করতে হবে। এরপরই এ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবলুপ্ত হয়ে যাবে।

(খ) এ কমিটি মনোনয়নপত্র/ নমিনেশন ফরম প্রস্তুত করবেন এবং আগ্রহী প্রার্থীদের কাছে তা সরবরাহ করবেন। এ কমিটি নির্বাচন পরিচালনার সুবিধার্থে সর্বাধিক ৪জন সহযোগী সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবেন।

(গ) এ কমিটি কার্যনির্বাহী পরিষদের সাথে আলোচনা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের নির্বাচন পদ্ধতি অনুযায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের প্রার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করে দিবেন।

২) (ক) সভাপতির পদ ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবসকারী প্রার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট করা হলে সাধারণ সম্পাদক পদ করতে হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের প্রার্থীর জন্য ও অনুরূপভাবে সভাপতির পদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের জন্য চিহ্নিত হলে সাধারণ সম্পাদক পদ ঢাকার প্রার্থীদের জন্য চিহ্নিত থাকবে। অন্য সকল পদে ঢাকা-রাজশাহীসহ দেশের সকল এলাকার আগ্রহী সদস্যগণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

(খ) নির্বাচন কমিশন দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার কমপক্ষে বিশ দিন পূর্ব থেকে আগ্রহী প্রার্থীদের নিকট ৪ ৬ (২) উপধারা অনুযায়ী প্রতি পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র সরবরাহ করবেন এবং তা বাংলা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের ওয়েবপেজে দিতে হবে। সাধারণ সভার পূর্বদিন অথবা সাধারণ সভার দিন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ফিসহ মনোনয়নপত্র জমাদানের জন্য সময় নির্ধারণ করবেন। ফি ছাড়া কেউ মনোনয়নপত্র জমা দিলে তা সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় থাকবে ০৬ (ছয়) ঘণ্টা। দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রার্থীদের পরিচিতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। সকল পদে প্রার্থী না পাওয়া গেলে বা নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হলে অবশ্যই বার্ষিক সাধারণ সভার সমাপনী অনুষ্ঠানের পূর্বে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। যে সকল পদে একজন করে প্রার্থী থাকবেন তাঁদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে হবে।

(গ) সাধারণভাবে উপস্থিত সদস্যদের প্রকাশ্য মতামত নিয়ে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা বাঞ্ছনীয় হবে। তবে যদি তা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে সাধারণ পরিষদের উপস্থিত অধিকাংশ সদস্য যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন সেভাবে অথবা প্রকাশ্য বা গোপন ভোটের মাধ্যমে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার চূড়ান্ত অধিবেশনের পূর্বে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচন হবে। অন্যান্য পদে একক প্রার্থী থাকলে তিনি বা তাঁরা নির্বাচিত বলে ঘোষিত হবেন। তখন এ কমিটি নির্বাচন কমিশন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং নির্বাচন সংক্রান্ত সকল বিষয়ে এ কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। তবে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার দিন নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম না হলে সেক্ষেত্রে সাধারণ সভায় উপস্থিত অধিকাংশ সদস্যের সিদ্ধান্ত ও সমর্থনে (ঘ) অনুযায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে।

(ঘ) নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নির্বাচন করতে সক্ষম না হলে সাধারণ সভায় উপস্থিত অধিকাংশ সদস্যের প্রকাশ্য মতামতের ভিত্তিতে তিনটি পদে যথা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পদের নির্বাচন উল্লিখিত দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার চূড়ান্ত অধিবেশনের আগে সম্পন্ন করতে হবে। নবনির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ আগ্রহী প্রার্থীদের নিকট মনোনয়নপত্র বিক্রয়ের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী পরিষদের অবশিষ্ট শূন্যপদসমূহ পূরণ করবেন। একই পদে এক্ষেত্রে প্রার্থী পদসংখ্যার চেয়ে বেশি হলে সমন্বয়ের মাধ্যমে আগ্রহী প্রার্থীদের কার্যনির্বাহী পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের ১০ (দশ) দিনের মধ্যে অবশ্যই কার্যনির্বাহী পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে।

) কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের ক্ষমতা কার্যাবলি

) সভাপতি

ক) তিনি সংগঠনের সকল দপ্তর, পরিষদ-এর সাংগঠনিক প্রধান (অভিভাবক) সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হবেন। তিনি যে কোনো উপ-কমিটির সভাপতিত্ব করার জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের যে কোনো সদস্যকে মনোনয়ন প্রদান করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবেন।

খ) সকল আর্থিক খরচাদি, বরাদ্দের চূড়ান্ত অনুমোদনসহ ও ব্যাংক হিসাবে স্বাক্ষর প্রদানকারী ও তদারককারী হবেন।

গ) তিনি সংগঠনের সকল কার্যক্রম-এর দায় দায়িত্ব বহন করবেন ও সাধারণ পরিষদের নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন।

) সহ-সভাপতি

ক) সভাপতির অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী সহ-সভাপতি সাময়িকভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। এ ক্ষেত্রে আর্থিক বিষয় ও নীতি নির্ধারণ সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকবেন এবং সভাপতির অন্যান্য দায়-দায়িত্ব পালন করবেন।

) সাধারণ সম্পাদক

ক) সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী হবেন।

খ) সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হলেও সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই কার্যনির্বাহী পরিষদের মতামত গ্রহণ করতে হবে।

গ) তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ ও কর্মসূচি বা কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্যয় করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবেন। যে কোনো আর্থিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় কর্মসূচির পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে এবং তা বাস্তবায়নের পর কার্যনির্বাহী পরিষদের পরবর্তী সভায় উপস্থাপন ও অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। তবে সংগঠনের বিশেষ প্রয়োজনে পূর্ব অনুমোদন ব্যতিরেকে তিনি পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবেন। তবে ব্যয়কৃত বিল ও ভাউচার পরবর্তী সভায় উত্থাপন করে অনুমোদন নিতে হবে।

ঘ) সংগঠনের সকল যোগাযোগ, চুক্তি, চুক্তি বাতিল, দলিল ও ব্যাংক হিসাবে স্বাক্ষর প্রদানসহ প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি ও প্রেরণ, বিভিন্ন সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদিতে যোগ দিতে পারবেন।

ঙ) সংগঠনের সকল দলিল, নথিপত্র, হিসাবপত্র সংরক্ষণ করতে বাধ্য থাকবেন, যা প্রচলিত আর্থিক নীতিমালার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। ব্যাংক হিসাবে স্বাক্ষর করবেন এবং সকল ব্যাংকের চেক বই সংরক্ষণ করবেন, যা হবে আবশ্যিক।

চ) তিনি সভাপতি/ কার্যনির্বাহী পরিষদ অনুমোদিত জনবল নিয়োগ প্রদান করবেন (প্রয়োজনে)।

ছ) সরকারি, বেসরকারি, প্রতিষ্ঠানে তিনি সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

জ) তিনি সার্বক্ষণিক অফিসের কার্যক্রমে দায়-দায়িত্ব পালন করবেন।

ঝ) কার্যনির্বাহী পরিষদ সভা আহ্বানসহ সকল সভা পরিচালনায় সচিবের

দায়িত্ব পালন করবেন।

ঞ) তিনি সাধারণ পরিষদের নিকট দায়ী থাকবেন।

) ট্রেজারার

ক) তিনি সংগঠনের সকল হিসাব-নিকাশ ও তহবিল সংরক্ষণ করবেন ও কার্যনির্বাহী পরিষদের নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন।

খ) সংগঠনের সকল হিসাব-নিকাশ, আর্থিক কার্যক্রম সুপারভিশন ও মনিটরিং করবেন, অভ্যন্তরীণ ও বহিনিরীক্ষককে নিরীক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করবেন এবং বার্ষিক সাধারণ সভায় বছরের আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ও অনুমোদন গ্রহণ করবেন।

গ) ব্যাংক হিসাব, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক-এর সাথে ট্রেজারার যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। ব্যাংকের আর্থিক লেনদেন চেকে প্রতিক্ষেত্রে ট্রেজারারের স্বাক্ষর হবে আবশ্যিক।

) যুগ্ম সম্পাদক

ক) সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সংগঠনের সকল কার্যক্রম পরিচালনার দায়-দায়িত্ব বহন করবেন ও সাধারণ পরিষদের নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন।

খ) সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজে সহযোগিতা প্রদান করবেন।

) সহ-সাধারণ সম্পাদক

ক) সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্মসম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সহ-সাধারণ সম্পাদক সাময়িক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। এক্ষেত্রে আর্থিক বিষয় ও নীতি নির্ধারণ সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকবেন কিন্তু অন্যান্য দায়-দায়িত্ব পালন করবেন।

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই

খ) সংগঠনের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সভাপতি ও সাধারণ সম্পদক ও যুগ্ম সম্পাদককে সকল প্রকারের সহযোগিতা প্রদান করবেন।

) সহকারী ট্রেজারার

ক) ট্রেজারের অনুপস্থিতিতে তিনি ট্রেজারের সকল দায়িত্ব পালন করবেন।

খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ সহকারী ট্রেজারারকে আর্থিক বিষয়ে যে কোনো দায়িত্ব প্রদান করতে পারবে এবং তিনি তা পালনে বাধ্য থাকবেন।

গ) ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাক্ষর করতে পারবেন।

) সাংগঠনিক সম্পাদক

সংগঠনের কলেবর বৃদ্ধিকল্পে সদস্য সংগ্রহ করা এবং সদস্যদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগহণের জন্য উৎসাহিত করা। তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদক নিজ নিজ বিভাগে সংগঠনের বিকাশে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন।

) সাহিত্য সম্পাদক

বাংলা বিভাগে যারা অতীতে ও বর্তমানে সাহিত্যচর্চায় নিয়োজিত ছিলেন বা রয়েছেন তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় উৎসাহিত করা এবং সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়াম-এর আয়োজন করা।

১০) সংস্কৃতি সম্পাদক

সংগঠনের সদস্যদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের বিকাশে বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবেন।

১১) দপ্তর সম্পাদক

সংগঠনের সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা ও নথিপত্র সংরক্ষণ এবং বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধনে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।

১২) উপ-দপ্তর সম্পাদক

দপ্তর সম্পাদকের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ঢাকা বা রাজশাহী অফিসের বা উভয় কার্যক্রম পরিচালনা ও নথিপত্র সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন।

১৩) প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক

প্রতি বছর বাংলা বিভাগের প্রাক্তন বা বর্তমান শিক্ষার্থী/ শিক্ষকদের দ্বারা রচিত মানসম্মত বই, ম্যাগাজিন, স্যুভিনির প্রকাশ করা ও অ্যালামনাইয়ের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে প্রচার প্রকাশনা কার্যক্রম পরিচালনা।

১৪) উপ-প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদনে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করবেন।

১৫) আইসিটি সম্পাদক

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নামে ই-মেইল এ্যাড্রেস, ফেইসবুক, ওয়েব পেজ পরিচালনা এবং নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য প্রচার করা ও সকল সদস্যদের নিকট আইসিটি যোগাযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা।

১৬) ডকুমেন্টশন গবেষণা সম্পাদক

অ্যালামনাই সদস্যদের বিভিন্ন সৃজনশীল কাজের ওপর গবেষণা পরিচালনা এবং অ্যালামনাইয়ের সকল কার্যক্রমের ডকুমেন্টেশন প্রণয়ন ও সংরক্ষণ করবেন বাংলা বিভাগের সেমিনার কক্ষে স্থাপিত অ্যালামনাই কর্নার সমৃদ্ধকরণে সকল দায়িত্ব পালন।

১৭) কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য

ক) কার্যনির্বাহী পরিষদ সভায় নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ ও সক্রিয় অবদান রাখা এবং কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত যে কোনো দায়িত্ব পালন।

. উপদেষ্টা পরিষদ

১) উপদেষ্টা: অ্যালামনাই-এর প্রবীণ সদস্য প্রথিতযশা ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। একজন হবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকি ছয়জন উপদেষ্টা হিসেবে গণ্য হবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টাগণকে মনোনয়ন প্রদান করবেন। উপদেষ্টা পরিষদের সর্বোচ্চ সংখ্যা হবে ৭জন। উপদেষ্টা পরিষদ বছরে কমপক্ষে ১টি সভায় মিলিত হবেন।

২) কার্যাবলি: অ্যালামনাইয়ের উন্নয়ন ও নীতি নির্ধারণী বিষয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং কার্যনির্বাহী পরিষদকে পরামর্শ দিতে পারবেন।

. সভা

) বিভিন্ন ধরনের সভা আহ্বান পদ্ধতি

১) সাধারণ পরিষদ সভা: বছরে ১ (এক) টি সভা করা বাধ্যতামূলক। তবে বছরের

যে কোনো সময় বিশেষ প্রয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত করা যাবে, যাতে অবশ্যই সংগঠনের সভাপতি কর্তৃক লিখিত কারণসহ সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করতে হবে। এছাড়াও কোনো কারণে সভা মুলতবি হলে ঐ সভাতেই তারিখ নির্ধারিতকরণের মাধ্যমে মুলতবি সভা আয়োজন করা হবে।

২) কার্যনির্বাহী পরিষদ সভা কার্যনির্বাহী পরিষদ সভা প্রতি ৩ (তিন) মাস অন্তর অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে বছরে ৪ (চার)-এর অধিক সভা করা যেতে পারে, তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষ সভার কারণে নোটিশে কারণ উল্লেখ করতে হবে। এসব সভা রাজশাহী বা ঢাকা উভয় স্থানে করা যাবে।

৩) তলবি সভা: যদি দেখা যায় সাধারণ সম্পাদক নির্দিষ্ট সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে সভা আহ্বান করছেন না, তবে সভাপতি নিজ ক্ষমতা বলে সভা ডাকতে পারবেন।

৪) বর্ধিত সভা: কার্যনির্বাহী পরিষদ তাঁদের যে কোনো সভাকে বর্ধিতসভা হিসেবে গণ্য করে আয়োজন করতে পারবেন। এই বর্ধিত সভায় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ ছাড়াও অ্যালামনাইয়ের উপদেষ্টাগণ ও সাধারণ সদস্যগণকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে। তবে এ ধরনের বর্ধিত সভা বছরে সর্বোচ্চ তিনটির বেশি অনুষ্ঠিত হতে পারবে না।

) সভার জন্য নোটিশের মেয়াদ

১) সাধারণভাবে ৭ (সাত) দিন পূর্বে কার্যনির্বাহী পরিষদ সভার নোটিশ ডাকযোগে, কুরিয়ার বা এসএমএস বা ইমেইলে-প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে। বিশেষ বা জরুরি সভার ক্ষেত্রে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মোবাইল ভার্চুয়াল মাধ্যম, ফোন ও এসএমএস-র মাধ্যমে নোটিশ করা যাবে।

২) ৭ (সাত) দিন পূর্বে জারিকৃত নোটিশের মাধ্যমে সভাপতি তলবি সভা ডাকতে পারবেন।

) বিভিন্ন সভার জন্য কোরাম

১) সভার কোরাম বলতে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যপদের এক-চতুর্থাংশ উপস্থিতিকে বুঝাবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ও কোরাম বলতে একই অর্থ বুঝাবে। সাধারণ পরিষদের সর্বমোট জীবন সদস্যের এক-পঞ্চমাংশের উপস্থিতিকে কোরাম হিসেবে গণ্য করা হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের বিশেষ সভা, তলবি সভা ও জরুরি সভার এক-পঞ্চমাংশ উপস্থিতিকে কোরাম হিসেবে গণ্য করা হবে।

. আর্থিক প্রশাসন ব্যবস্থা

) ব্যাংক হিসাব টাকা উত্তোলনের পদ্ধতি

১) অ্যালামনাইয়ের কার্যক্রমের সুবিধার্থে ঢাকা এবং রাজশাহীতে এক বা একাধিক সঞ্চয়ী বা চলতি হিসাব যেকোন তফসিলি ব্যাংকে খোলা যাবে।

২) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং ট্রেজারার ও সহকারী ট্রেজারারের মধ্যে যেকোনো দুজনের স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে তবে ট্রেজারার/ সহাকারী ট্রেজারারের স্বাক্ষর হবে আবশ্যিক।

) হিসাব নিরীক্ষা নিরীক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি

১) প্রতি দ্বি-বার্ষিক সাধারণ পরিষদ সভার ০১ মাস পূর্বে সংগঠনের হিসাব নিরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত যে কোনো চার্টার্ড একাউন্টেন্টস্ ফার্মকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের যে কোনো শিক্ষক টিমকে যাঁদের নিরীক্ষার এখতিয়ার রয়েছে, নিয়োগ করতে হবে। এ ফার্ম/টিম ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন যা দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন ও অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। পরপর ৩ বৎসরের বেশি একই ফার্ম/টিমকে হিসাব নিরীক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয়া বৈধ বিবেচিত হবে না।

২) সংগঠনের আর্থিক ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক নিয়োগ করা হবে, যিনি বছরে কমপক্ষে একবার হিসাব নিরীক্ষণ কার্য সম্পাদন করবেন। প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক টিমের কোনো সদস্যকে নিরীক্ষা টিমে সংযুক্ত করা যাবে।

১০. বিভাগীয় কমিটি

) বিভাগীয় কমিটির গঠন, অধিকার সুবিধাদি

সদস্যপ্রাপ্তি-সাপেক্ষে সকল বিভাগে বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হবে। বিভাগীয় কমিটির কার্যনির্বাহী পরিষদ সর্বোচ্চ ২৫ সদস্য বিশিষ্ট হবে। তবে সর্বনিম্ন ১৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ/কমিটি গঠন করা যাবে।

) বিভাগীয় কমিটির দায়িত্ব

মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার দায়-দায়িত্ব অ্যালামনাই-এর কমিটিসমূহ পরিপালন করবে। কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রণীত ও অনুমোদিত সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী কমিটি অফিস কার্যক্রম পরিচালনাসহ সকল দায়-দায়িত্ব প্রতিপালন করবে।

) বিভাগীয় কমিটির নির্বাচন পরিচালনা

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের তিনজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিভাগীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য প্রতিনিধি প্রেরণের আবেদন জানিয়ে অবশ্যই লিখিতভাবে সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের নিকট আবেদন করতে হবে। সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক মনোনীত প্রতিনিধিদল বিভাগীয় কমিটি গঠনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি হিসেবে বিবেচিত হবে।

) মনোনয়নপত্র মূল্য

বিভাগীয় কমিটির তহবিল গঠনের লক্ষ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মনোনয়নপত্রের মূল্য হবে ৫,০০০.০০ (পাঁচ হাজার) টাকা অন্য সকল বিভাগীয় পদের জন্য ৩,০০০.০০ (তিন হাজার) টাকা এবং সদস্যপদের জন্য ২,০০০.০০ (দুই হাজার) টাকা মাত্র।

) বিভাগীয় কমিটি অনুমোদন স্থগিত প্রক্রিয়া

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদ সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সংগঠনের যে কোনো কমিটির অনুমোদন স্থগিত বা প্রত্যাহার করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবে কিন্তু স্থগিত বা প্রত্যাহার করতে হলে অবশ্যই কমিটি অফিসকে এক মাস পূর্বে অবগত করতে হবে।

) ) বিভাগীয় কমিটির পদসমূহ (২৫ সদস্যের জন্য)

০১ জন সভাপতি, ০৩ জন সহ-সভাপতি, ০১ জন সাধারণ সম্পাদক, ০১ জন ট্রেজারার, ০২ জন যুগ্ম সম্পাদক, ০১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক, ০১ জন দপ্তর সম্পাদক, ০১ জন প্রচার সম্পাদক, ০১ জন সাহিত্য সম্পাদক ও ১৩ জন সদস্য = মোট ২৫ সদস্য বিশিষ্ট বিভাগীয় কমিটি গঠিত হবে।

) বিভাগীয় কমিটির পদসমূহ (১৩ সদস্যের জন্য)

কোনো বিভাগে পর্যাপ্ত সদস্য না-পাওয়া গেলে সর্বনিম্ন ১৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা যাবে। ১৩ সদস্যের কমিটিতে সভাপতি ১জন, সহ-সভাপতি ২ জন, সাধারণ সম্পাদক ১জন, ট্রেজারার ১জন, যুগ্ম সম্পাদক ১জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ১জন, দপ্তর সম্পাদক ১জন ও সদস্য ৫জন।

) বিভাগীয় কমিটির পদসমূহ (১৫, ১৭, ১৯, ২১ ২৩ সদস্যের জন্য)

২৫ সদস্যের পদসংখ্যা কমিয়েও বিজোড় সংখ্যায় বিভাগীয় কমিটি গঠন করা যাবে। সেক্ষেত্রে কমিটি গঠনকারীদের বিভাগীয় কমিটির পদবিন্যাস বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে নিজেদের নির্ধারণ করতে হবে। তবে কোনোক্ষেত্রেই তা ১৩ সদস্যের কমে গঠন করা যাবে না। ২৫ সদস্যের কম কিন্তু ১৩ সদস্যের বেশি কমিটির ক্ষেত্রে ১৩ সদস্যের কমিটির পদগুলো অবশ্যই রাখতে হবে। পদসংখ্যা ১৫, ১৭, ১৯, ২১ বা ২৩ হলে ২৫ সদস্যের কমিটির অনুসরণে সংশ্লিষ্ট কমিটি পদ বিন্যাস ও সমন্বয় করতে পারবে।

৭) বিভাগীয় কমিটির সকল কার্যক্রম এই গঠনতন্ত্রের বিভিন্ন ধারা-উপধারা অনুযায়ী পরিচালিত হবে এবং এ গঠনতন্ত্রের প্রতিটি বিষয় মেনে চলতে সকল বিভাগীয় কমিটি বাধ্য থাকবে।

৮) বিভাগীয় কমিটির নিজস্ব ব্যাংক হিসাব থাকবে এবং কেন্দ্রের অনুরূপ ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করতে পারবে।

৯) বিভাগীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। তবে বিভাগীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেউ যদি পূর্ব থেকেই কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো পদধারী হন তাহলে সেক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।

১১. পুরস্কার প্রবর্তন উৎসাহব্যঞ্জক কার্যক্রম

১) বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই প্রতিবছর দুজন তবে সম্ভব না হলে কমপক্ষে একজন দেশের কীর্তিমান সৃজনশীল ও মননশীল ব্যক্তিত্বকে 'কলাবিদ' পুরস্কার প্রদান করবে। এ পুরস্কার মরণোত্তরও দেয়া যাবে। এ পুরস্কারের নগদ অর্থমূল্য হবে ২৫,০০.০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা এবং একটি ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র।

২) প্রতি দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় এ পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং ঐ দ্বি-বার্ষিক সভাতেই পরবর্তী বছর কার নামে পুরস্কার প্রদান করা হবে তা নির্ধারণ করার জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং আরও ০৩ জন সদস্য সমন্বয়ে ০৫ সদস্যর একটি কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি সাহিত্যিক/ সাহিত্যসেবী নির্বাচন করবেন। জ্যেষ্ঠতার ক্রম-অনুযায়ী প্রতিবছর একজন বিভাগীয় চেয়ারম্যানের নামে এ পুরস্কার দেয়া হবে- যেমন: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. মযহারুল ইসলাম, ড. মুহম্মদ এনামুল হক প্রমুখ।

) মেধাপুরস্কার

ক) বাংলা বিভাগের স্নাতক মেধাক্রম অনুসারে সর্বনিম্ন ০৩ থেকে সর্বোচ্চ ০৫ জন

খ) বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর মেধাক্রম অনুসারে সর্বোচ্চ ০৩ জন

গ) স্পন্সরের মাধ্যমে ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষে যে পুরস্কার দেয়া হবে তা প্রতিবর্ষে প্রথম স্থান অধিকারীকে বা মেধাক্রম অনুযায়ী দুইজনকে দেয়া হবে।

ঘ) কার্যনির্বাহী পরিষদের সামর্থ ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

৪) বাংলা বিভাগের পরলোকগমনকারী কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর নামে যদি তাঁর পরিবারের সদস্যগণ বা শুভানুধ্যায়ী ও বন্ধু-বান্ধব কমপক্ষে ২৫,০০০.০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা মূল্যমানের কোনো সৃজনশীল পুরস্কার প্রবর্তন করতে চান এবং সে অর্থ প্রদান করেন তাহলে বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই সে পুরস্কার নির্বাচন ও বিতরণের কাজ নিজেদের ব্যবস্থাপনায় আয়োজন করে দেবে।

৫) আর্থিক সচ্ছলতা-সাপেক্ষে মেধাবী শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার জন্য (গবেষণা) অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা, যা সংগঠনের নামে চালু থাকবে। বিষয়টি সম্পর্কে কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন, যা অবশ্যই একটি নীতিমালার ভিত্তিতে করা হবে।

৬) অ্যালামনাই সদস্যরা নিজের নামে ছাড়া পিতা ও মাতা বা প্রয়াত সন্তানের নামে এবং পরলোকগমনকারী সদস্যের পরিবারের সদস্যরা পরলোকগমনকারী সদস্যের নামে কমপক্ষে ১০,০০০.০০ (দশ হাজার) টাকা মূল্যমানের দ্বি-বার্ষিক পুরস্কার/ অনুদান/ মেধাবৃত্তি প্রবর্তন করতে পারবেন। বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও আয়োজনে সে সব পুরস্কার নির্বাচন ও বিতরণ করবে। অ্যালামনাই প্রয়োজনে এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের সহায়তা নিতে পারবে।

১২. শোক প্রস্তাব

যদি বাংলা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের কোনো সদস্য, বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেন সেজন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় শোক প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে এবং মৃত্যুবরণকারী পরিবারকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত পত্র দিয়ে সংগঠনের সহমর্মিতা ও সমবেদনা জ্ঞাপন করতে হবে। এছাড়া, বছরে এক বা একাধিক মৃত্যুবরণকারী সদস্য স্মরণে বার্ষিক সাধারণ সভায়ও শোক প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়াত/ প্রয়াতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করতে হবে। সম্ভব হলে সংগঠনের বার্ষিক বা

দ্বি-বার্ষিক প্রকাশনায় সে বছরে প্রয়াত/ প্রয়াতদের তথ্য/ছবি প্রকাশ করতে হবে।

১৩. গঠনতন্ত্র সংশোধনী

কোনো কারণবশত সংগঠনের গঠনতন্ত্র-এর কোনো ধারা, উপধারা বা কোনো শব্দের পরিবর্তন, সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন করতে হলে সংগঠনের সাধারণ সভায় কোরাম পূরণ-সাপেক্ষে অধিকাংশ মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, পরিবর্জন বা সংযোজন করা যাবে। তবে এধরনের সংশোধন প্রস্তাব সংগঠনের সাধারণ সভায় কমপক্ষে এক মাস আগে সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের নিকট লিখিতভাবে জমা দিতে হবে। যা কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় আলোচনা ও মতামতসহ সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা হবে। তবে সংগঠনের বিশেষ কোনো জরুরি প্রয়োজনে গঠনতন্ত্রে কোনো নতুন সংযোজনী প্রস্তাব যদি কোনো সদস্য সরাসরি বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করেন এবং তাতে যদি উপস্থিত সদস্যদের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ আলোচনার পক্ষে মতামত দেন তবে তা নিয়েও সাধারণ সভায় আলোচনা করা যাবে এবং সভায় উপস্থিত অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে। সাধারণ সভায় অনুমোদনের পর যে বা যেসব সংশোধনী গঠনতন্ত্রের অংশ হবে সকল সদস্যকে তা অবহিত করতে হবে।

১৪. সাধারণ পরিষদের কর্তৃত্ব

এ গঠনতন্ত্রে বর্ণিত নেই এমন কোনো বিষয়ের অবতারণা হলে সে বিষয়ে সাধারণ সভা আহ্বান করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ পরিষদ হবে সকল ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী এবং সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।

১৫. নিশ্চয়তা নির্দেশক ধারা (গ্যারান্টি ক্লজ)

গঠনতন্ত্রের অন্য কোথাও যাই উল্লেখ থাকুক না কেন এই নিশ্চয়তা নির্দেশক ধারা সবার ওপর প্রযোজ্য হবে:

ক) সংগঠনের নাম ও মনোগ্রাম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, সদস্যপদ নির্ধারণ ও অনুমোদন প্রক্রিয়া, স্থায়ী আমানত তহবিলে জমাকৃত সকল প্রকার সদস্যভুক্তির চাঁদার অর্থ সংগঠন পরিচালনা কাজে ব্যয় না করার সিদ্ধান্ত, সদস্যপদ বাতিল এবং স্থগিতকরণ পদ্ধতি, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন পদ্ধতি এবং আর্থিক প্রশাসন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কোনো বিষয় পরিবর্তন/পরিবর্ধন/ পরিবর্জন ও পরিমার্জন করতে হলে সে ক্ষেত্রে সভার কোরামের জন্য গঠনতন্ত্রের ৮-গ ধারা প্রযোজ্য বলে গণ্য হবে না। তখন সভার কোরামের জন্য অ্যালামনাইযের মোট সদস্যের সর্বমোট দুই-তৃতীয়াংশের সদস্যের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। এই সভায় কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে উপস্থিত সদস্যদের তিন চতুর্থাংশের সমর্থন লাগবে, তা না হলে গঠনতন্ত্রের সংযোজিত উল্লিখিত সকলক্ষেত্রে কোনোরূপ গঠনতন্ত্র সংশোধনী, পরিমার্জন, বিয়োজন বা সংযোজন করা যাবে না।

খ) সদস্য চাঁদার স্থায়ী আমানতের মূল অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে এবং লাভজনক বিবেচনায় এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভার কোরাম হবে এবং মোট সদস্যের অর্ধেকের বেশি সদস্যের অর্থাৎ কমপক্ষে ২৬জন কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যের লিখিত স্বাক্ষর সংবলিত কার্যবিবরণীর মাধ্যমে তা করা যাবে। কিন্তু কোনোভাবেই সদস্য চাঁদার মূল অর্থ ব্যয় করা যাবে না।

 

আপেল আবদুল্লাহ

সভাপতি

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

 

পি এম সফিকুল ইসলাম

সাধারণ সম্পাদক

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

জামিল রায়হান

সভাপতি

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

 

শহীদ ইকবাল

সাধারণ সম্পাদক

বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়



Published On: 2024-12-24 16:51:08