বাংলা বিভাগ ও ১৫০ নং কক্ষ ঘেরাও-দখল

শনিবার সকাল থেকেই প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বহুদিন আগে ছেড়ে যাওয়া বাংলা বিভাগে এসে নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রিয় বাংলা বিভাগের ১৫০ নম্বর, চেয়ারম্যানের কক্ষ এবং সামনের চত্বরসহ সমগ্র এলাকা দখল নেয় ও রাজত্ব স্থাপন করে। বাংলা বিভাগে অধ্যয়নকারী ছাত্র যারা নিজ বিভাগীয় ছাত্রীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাঁরা সবাই হঠাৎ করে বিভাগীয় সকল ছাত্র-ছাত্রীর দুলাভাই বনে যান। এ পর্যায়ে সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহম্মদ আবদুল খালেককে একদল ছাত্র-ছাত্রী দুলাভাই-দুলাভাই বলে ঘিরে ধরেন। সেহেতু তাঁর জীবনসঙ্গিনী অধ্যাপিকা রাশেদা খালেক একসময় বিভাগের কৃতী ছাত্রী ছিলেন সেহেতু তিনি হাসিমুখে এ সম্বোধন মেনে নেন এবং নব সর্ম্পকিতদের আপ্যায়িত করেন।

বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. অমৃত লাল বালা-র গৃহিণী ড. ঊষা রানী সরকার এ বিভাগের কৃতী ছাত্রী। তিনিও দুলাভাই হিসেবে ঘেরাও হন এবং দাবির মুখে ‘ডিস কলেজিয়েট’ করার কালো আইন চিরদিনের জন্য বাতিল করেন। ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁর ঘোষণার সাথে সাথে হর্ষে আনন্দে ফেটে পড়ে। প্রফেসর পি.এম. সফিকুল ইসলাম, জেসমিন আকতার, প্রফেসর অনীক মাহমুদ, ড. মাসুমা খানম,অধ্যক্ষ ড.জয়নুদ্দীন,জামিল রায়হান, আনিস হাসিন, শাহিদা পারভীন, হাবিবুর রহমান হাবু, শাহীন আরাসহ বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী যারা দাম্পত্য বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছেন তাঁরা প্রায় সবাই নব সম্পর্কের শ্যালক-শ্যালিকাদের ভালোবাসায় অত্যাচারে বিভিনড়ব ধরনের কাফফারা দিতে বাধ্য হন। বাংলা বিভাগের তরুণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকসহ অন্যান্য দুলাভাইদের পকেট কেটে অন্তত পক্ষে পঞ্চাশ হাজার টাকা আদায় করে। বাংলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী যারা ভবিষ্যতে জুটি হতে চায় এমন যুগলদের উৎসাহ ভাতা প্রদানের ঘোষণা দিলে কয়েকটি জুটি আপেল আবদুল্লাহর প্রতিশ্রুত অর্থ ও আশীর্বাদ গ্রহণ করে। এতে ক্যাম্পাসে আনন্দের শিহরণ বয়ে যায়। গোটা পরিবেশ প্রবীণ ও নবীনের উচ্ছ্বাসে আনন্দমমতায় অবগাহন করে। বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সকালের নাস্তা পরিবেশনের ঘোষণা দিলে ছাত্র-ছাত্রীরা বাংলা বিভাগ, ১৫০ নং কক্ষ ও চত্বর থেকে দখলিসত্ত ত্যাগ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *